Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বিএসআরআইয়ের অর্জন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বিএসআরআইয়ের 
অর্জন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কৃষিবিদ ড. মো. আমজাদ হোসেন১, কৃষিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ২
মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য মানবদেহের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদান। বিশেষ করে মেধাশক্তি বিকাশে এর বিকল্প নেই। আমাদের দেশে সাধারণত চিনি ও গুড় মিষ্টিজাতীয় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ঋঅঙ) নির্ধারিত মান অনুযায়ী জনপ্রতি বার্ষিক ১৩ কেজি চিনি/গুড় খাওয়া প্রয়োজন। সেই হিসাবে দেশের ১৭.০০ কোটি জনসংখ্যা এর জন্য দরকার ২৩ লাখ মে. টন চিনি ও গুড়। বর্তমানে প্রতি বছর ১.৫০ লাখ হেক্টর (মিল জোন ও নন-মিল জোন) জমিতে ইক্ষু আবাদের মাধ্যমে দেশে ১৫টি চিনিকলে ২.১০ লাখ মে. টন চিনি উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় ১.০০ লাখ মে. টন চিনি এবং ৬.০০ লাখ মে. টন গুড় উৎপাদিত হচ্ছে। এতে করে চিনি/গুড়ের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭.০০ লাখ মে. টন, ফলে চিনি/গুড়ের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬.০০ লাখ মে. টন। এই চাহিদা পূরণ করতে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৬ লাখ মে. টন চিনি বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়।
এই বিরাট ঘাটতি পূরণের জন্য চিনিকলসমূহের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন চিনিকল স্থাপন করে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩ লাখ টনে উন্নীত করা যাবে। ৩ লাখ মে. টন চিনি উৎপাদনের জন্য দরকার হবে ৩৭.৫ লাখ মে. টন আখ (রিকভারি হার ৮% ধরে)। অবশিষ্ট ২০ লাখ মে. টন চাহিদা পূরণ করতে হবে গুড় থেকে।  গুড়ের মধ্যে ১৫ লাখ মে. টন গুড় প্রস্তুত করতে হবে আখ থেকে। আর এজন্য দরকার হবে ১৫০ লাখ মে. টন আখ (রিকভারি হার ১০% ধরে)। এর সঙ্গে চিবিয়ে খাওয়া, রস পান এবং বীজের জন্য আরও ১২.৫ লাখ মে. টন আখের প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ প্রতি বছর চাহিদা অনুযায়ী চিনি, গুড় ও রসের জন্য মোট আখ উৎপাদন করতে হবে প্রায় ২০০ লাখ মে. টন (৩৭.৫+১৫০+১২.৫)। বাকি ৫ লাখ মে. টন গুড়ের চাহিদা মেটাতে হবে খেজুর ও তালের গুড় দিয়ে।
হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২ কোটি মে. টন ইক্ষু উৎপাদনের জন্য ইক্ষুর চাষাবাদ ১.৫ লাখ হেক্টর থেকে ৩.৪ লাখ হেক্টরে সম্প্রসারিত করতে হবে। চরাঞ্চলের ২ লাখ হেক্টর এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অব্যবহৃত জমির একটা অংশ ব্যবহারের সুযোগ কার্যকর করে ইক্ষুচাষ সম্প্রসারণের এই কাজটি সফলভাবে করার সুযোগ রয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইক্ষুর বর্তমান ফলন ৪৬ টন/হেক্টর থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ টন/হেক্টরে উন্নীত করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ইক্ষুজাত ও প্রযুক্তিসমূহ সফলভাবে মাঠে প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, দেশে মাঠ পর্যায়ে ইক্ষুর সর্বোচ্চ ফলন ২৮৪ টন/হেক্টর পাওয়ার রেকর্ড আছে। নিবিড় ইক্ষু উৎপাদন কর্মসূচি গ্রহণ করে প্রতিটি ইক্ষু চাষিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। এ ছাড়া ইক্ষুর পাশাপাশি ট্রপিক্যাল সুগারবিট, খেজুর, তাল, গোলপাতা প্রভৃতি অপ্রচলিত মিষ্টি উৎপাদনকারী ফসল থেকেও চিনি ও গুড় উৎপাদনের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। 
এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী দেশের চিনি ও গুড়ের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন চিনি উৎপাদনকরী ফসল উৎপাদনের জন্য বিএসআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ নিম্নরূপ : 
উন্নত ইক্ষুজাত উদ্ভাবন : বিএসআরআই ইতোমধ্যে ৪৮টি উচ্চফলনশীল ও অধিক চিনিসমৃদ্ধ ইক্ষুজাত উদ্ভাবন ও অবমুক্ত করেছে। এ জাতগুলো আগাম, মধ্যম ও নাবি পরিপক্ব; প্রতিকূল পরিবেশ সহ্যক্ষম, মুড়িচাষ এবং গুড় উৎপাদন উপযোগী। 
সুগারবিট, তাল ও স্টিভিয়ার জাত নিবন্ধন : সুগারবিটের ২টি, তালের ১টি এবং স্টিভিয়ার ১টি জাত নিবন্ধিত হয়েছে।
রোপা ইক্ষু চাষ পদ্ধতি প্রবর্তন : রোপা ইক্ষু চাষে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় মাত্র ৪০% বীজ ইক্ষুর প্রয়োজন হয়; মাড়াইযোগ্য ইক্ষুর সংখ্যা ও ওজন বৃদ্ধি হয়; প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় এতে বীজ বর্ধন অনুপাত বৃদ্ধি পায় (১:৩০)। চারা উৎপাদনে মহিলা ও প্রতিবন্ধী (ফরংধনষব) দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সাথীফসল চাষ : ইক্ষুর সাথে পর্যায়ক্রমিক এক বা একাধিক সাথীফসল আলু, পিয়াজ, রসুন, ডাল, তেল, মসলা ও বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি চাষ করে শুধু ইক্ষু চাষের চেয়ে  ১০০-৩০০% আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। 
আগাম ইক্ষুচাষ : সুপারিশকৃত শস্যপর্যায় এবং ধানের সাথে রিলে পদ্ধতি অবলম্বন করে আগাম উচ্চফলনশীল ও অধিক চিনিযুক্ত ইক্ষুজাত চাষ নিশ্চিত করে ইক্ষুর ফলন বৃদ্ধির সাথে সাথে চিনি ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।
উন্নত পদ্ধতিতে মুড়ি ইক্ষু চাষ ব্যবস্থাপনা : এ প্রযুক্তি প্যাকেজটি ০.৫-১.০ ইউনিট অধিক চিনি আহরণ নিশ্চিত করে। তাছাড়াও মুড়ি ইক্ষু চাষে বীজ প্রয়োজন হয়না; জমি তৈরি ও রোপণ খরচ কম এবং মূল আখের চেয়ে তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হয় বলে চিনিকলসমূহ আগাম চালু করা সম্ভব হয়।
কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা : জমি নির্বাচন ও প্রস্তুতি, বীজ ইক্ষু নির্বাচন, বপনের সময়, বপন পদ্ধতি, একক জমিতে উপযুক্ত সংখ্যক ইক্ষু, সেচ ও নিষ্কাশন, আন্তঃপরিচর্যা, আগাছা ব্যবস্থাপনা, কর্তন কৌশল ইত্যাদি প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ইক্ষুর ফলন প্রায় ৪০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। দেশে ইক্ষু চাষ হয় এমন ১২টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল এর জন্য ইক্ষু, সাথীফসল ও মুড়ি ইক্ষুর সারের মাত্রা ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সুপারিশ ও সময়োপযোগী করা হয়েছে যা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ইক্ষুর ফলন প্রায় ৩০% বৃদ্ধি করা সম্ভব। ইক্ষুর ৪০টি রোগ ও ৭০টি পোকা শনাক্ত করা হয়েছে। রোগ ও পোকা দমনের মাধ্যমে ইক্ষুর ফলন প্রায় ১০-৪০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। ইক্ষু মাড়াইকল উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক রস আহরণ করে গুড় উৎপাদন খরচ যথেষ্ট কমানো সম্ভব হয়েছে। বিএসআরআই উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ কৃষকপর্যায়ে সঠিকভাবে সম্প্রসারণের মধ্যমে ইক্ষুর ফলন প্রায় ১০০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। রোগমুক্ত, বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন (ঈষবধহ ংববফ) ও বিতরণ কর্মসূচি জোরদারকরণ করা হয়েছে। নন মিলজোনের আওতায় পাহাড়, চরাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চল এবং পতিত জমিতে (জমির আইল, রাস্তার দুইধার, পুকুর, খালের পাড় ইত্যাদি) মিষ্টিজাতীয় ফসল চাষাবাদ সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মিল ও মিল বহির্ভূত এলাকায় মিষ্টিজাতীয় ফসল উৎপাদন, ক্রয় ও প্রক্রিয়াকরণ, পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনায় গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, চিনিকল ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএসআরআই এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা 
কৃষিতাত্ত্বিক : সুগারবিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য অপ্রচলিত মিষ্টি জাতীয় ফসলের উপর গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ; গবেষণার জমি এবং কৃষকের জমিতে ফলন পার্থক্য হ্রাসকরণ; চাষিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ফলিত গবেষণা, সরেজমিন গবেষণা, খামার বিন্যাস গবেষণা এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ গবেষণায় অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা; গুড় উৎপাদনশীল এলাকায় ইক্ষু উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ; অধিক ফলন ও অধিক চিনি আহরণের জন্য মুড়ি ইক্ষু ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি প্যাকেজের উন্নয়ন করা।
জৈব প্রযুক্তি সংক্রান্ত : বায়োটেকনোলজি ভিত্তিক ইক্ষু, সুগারবিট, খেজুর, তাল, গোলপাতা, স্টেভিয়া প্রভৃতি সুগারক্রপের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; উচ্চফলন ও উৎপাদন সহায়ক জিএম ক্রপ উদ্ভাবনের জন্য জৈব-প্রযুক্তির শক্তি বৃদ্ধিকরণ; সকল ফসলের বিটি (ব্যসিলাস থুরিয়েনজেনসিস) জাত প্রবর্তন; ইক্ষু, সুগারবিট, খেজুর, তাল, গোলপাতা প্রভৃতি সুগারক্রপের মাইক্রোপ্রোপাগেশন এর মাধ্যমে উন্নত বীজ উদ্ভাবন; রোগ প্রতিরোধী গুণাবলী বা উপকরণসমূহকে ডিএনএ পুনর্গঠন প্রযুক্তির মাধ্যমে (এগ্রোব্যাকটেরিয়ামের মাধ্যমে স্থানান্তর) ঈপ্সিত জাতে প্রতিস্থাপন করা; জৈব-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োটিক এবং এ্যাবায়োটিক প্রতিকূলতা সহ্যক্ষম চিনিফসলের জাত উদ্ভাবন। অতি উন্নত/কুলীণ ইক্ষুজাতসমূহের মাইক্রোপ্রোপাগেশনের মাধ্যমে দ্রুত বীজ বর্ধন; স্টিভিয়ার  মাইক্রোপ্রোপাগেশন করা।
প্রজনন সংক্রান্ত : উচ্চফলনশীল, উচ্চ চিনিসমৃদ্ধ, দ্রুত বর্ধনশীল, লবণাক্ততা, খরা ও জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু পরিপক্ব পাতা ঝরে পড়া ও নেতিয়ে না পড়ার গুণসমূহের প্রতি লক্ষ্য রেখে খর্ব আকৃতির স্বল্পমেয়াদি বিশেষ ধরণের ইক্ষুজাত উদ্ভাবন করা; ইক্ষুর জার্মপ্লাজম ব্যাংক শক্তিশালীকরণ; গুড় উৎপাদন ও চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী আরও উন্নতমানের ইক্ষুজাত উদ্ভাবন করা।
রোগতাত্ত্বিক : ইক্ষুর রোগসমূহের জৈবিক দমন। প্রধান প্রধান রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনসমূহের শত্রু অনুউদ্ভিদ গরপৎড়ভষড়ৎধ সমূহ শনাক্তকরণ। ডিএনএভিত্তিক প্রটোকল প্রয়োগের মাধ্যমে ইক্ষুর রোগসমূহের তালিকা (ওহফবীরহম) প্রণয়ন; আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উৎপাদন ও বিতরণ করা।
কীটতাত্ত্বিক : সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়ন।
সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও চিনি রসায়ন সংক্রান্ত: স্বাস্থ্যসম্মত গুড় উৎপাদনের জন্য পরিষ্কারক হিসেবে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য হাইড্রোজের পরিবর্তে ভেষজ সংশ্লেষ ব্যবহার। সুবিধাজনক ভেষজ পরিষ্কারক বাছাই করে তার উন্নয়ন; ইক্ষুর ছোবড়াসহ অন্যান্য উপজাতের ব্যবহার বহুমুখীকরণ; সুগারক্রপসমূহের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
অন্যান্য : সুগারক্রপসমূহের বাজারকাঠামো বিশ্লেষণ সংক্রান্ত গবেষণা জোরদারকরণ; পরীক্ষিত প্রযুক্তিসমূহের বিস্তার জোরদারকরণ; প্রযুক্তি প্যাকেজের ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ; কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গতি বৃদ্ধিকরণ; বিভিন্ন চিনি ফসলের জন্য             কৃষিজ যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করা।

লেখক : ১মহাপরিচালক, ২প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ), বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ^রদী, পাবনা। ফোন : ৫৮৮৮৪৬৬২৮, ই-মেইল : ফম-নংৎর@মড়া.নফ


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon